ঘরোয়া আলাপচারিতায় ধর্মীয় বক্তা, হেফাজত ও বিএনপি নেতার উর্দু ভাষায় আলাপচারিতার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে ২০১৩ সালের ৫ মের শাপলা চত্বরের কর্মসূচি নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায়। এসময় সেখানে উপস্থিত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদও উর্দু ভাষায় আলাপ এগিয়ে নেন। হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকসহ আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওটি গত বুধবার (১২ই মার্চ) কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখার ইফতার মাহফিলের পর এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সময় ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছেন সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি।
কী আলাপ করছিলেন তারা?
৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওটির বেশিরভাগ অংশজুড়েই ধর্মীয় বক্তা কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে ২০১৩ সালের ৫ মে নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায়।
আলাপচারিতায় সেই প্রসঙ্গ টেনে কাজী ইব্রাহিম বলেন, ‘৫ মে জো কাতালে আম হুয়া ভোহা মে মজুদ থা। আখরি শাকস জো স্টেজ সে উৎরা ভো মে থা। তাব মৌলানা সাইদুর রহমান মুঝকো ওয়াহা উঠা লিয়া’।
বাংলা করলে যার অর্থ দাঁড়ায়, ৫ মে যখন গণহত্যা চলছিল তখন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। স্টেজ থেকে নামা শেষ ব্যক্তিও আমি ছিলাম। তখন মাওলানা সাইদুর রহমান আমাকে ওখান থেকে তোলেন।
তার পরপরই মামুনুল হক ‘মগার’ বা ‘কিন্তু’ দিয়ে শুরু করে কিছু একটা বলেন যেটা ভিডিওতে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না।
সেখান থেকে কাজী ইব্রাহিম আবারও বলা শুরু করেন, ভো এক বাত হ্যায়, মুসলমান যাব কাতিল কে সাথ হাত জোর লেতে হ্যায় না তাব মুসলমান হার যাতে হ্যায় অর্থাৎ একটা কথা আছে যে মুসলমান যখন হত্যাকারীর সঙ্গে হাত মেলায় তখন মুসলমান হেরে যায়।
এরপর বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সুনিয়ে জানাব, আগার হাম মওকে কা বাত কারতে হ্যাঁ তো ইস মওকে কো আগার হাম ইস্তেমাল নেহি কারে তো হাম’
যার অর্থ দাঁড়ায়- শুনুন জনাব, যদি আমি সুযোগের কথা বলি তাহলে আমরা যদি এই সুযোগের সদ্ব্যবহার না করি তবে...’ – এটুকু বলেই যারা ভিডিও করছে তাদের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে তিনি কিছু একটা বলতে শুরু করলে ভিডিও শেষ হয়ে যায়।
.png)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন