পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে কিছু বিমান আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে পাওয়া যাবে। আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
তিনি আরও জানান, পাল্টা শুল্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরশু বৈঠক হবে। তিনি জানান, বিমান কেনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) অফিস ২৯ ও ৩০ জুলাই সরাসরি বৈঠকের জন্য সময় দিয়েছে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা, নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বাণিজ্যসচিব উপস্থিত থাকবেন। ‘৩১ জুলাই সেখানে আরেকটি সভা হতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল আগামীকাল সন্ধ্যায় রওনা দেবে। যেহেতু তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, ফলে আগামী ১ আগস্টের যে সময়সীমা আছে, তার মধ্যেই হয়তো শুল্কের বিষয়ে ফলাফল ঘোষিত হয়ে যাবে বলে আমাদের ধারণা।’
বোয়িং বিমান কেনার বিষয়ে সাংবাদিকদের বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘বোয়িংয়ের ব্যবসা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নয়, এটি বোয়িং কোম্পানি করে। বাংলাদেশ মোট ২৫টি বোয়িংয়ের ক্রয়াদেশ দিয়েছে। অন্য দেশও এমন ক্রয়াদেশ দিয়েছে। যেমন ভারত ও ভিয়েতনাম ১০০টি করে এবং ইন্দোনেশিয়া ৫০টি বোয়িং বিমান অর্ডার দিয়েছে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন